মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন

এই প্রচারণার টার্গেট কে?

মিনা ফারাহ:
সবুর সয় না। পুরনো বিতর্কগুলো বাসিও হতে দেয়া হলো না। এবারের জঞ্জাল- তারেক স্টেটলেস নাকি স্ট্যাটাসলেস নাকি হোমলেস? প্রশ্নটির আরেকটি পিঠও আছে। একটি জাতিগোষ্ঠী কিংবা আদর্শের ওপর আক্রমণ চালিয়ে কেউ যখন তাকে নির্মূল করতে চায়; জাতিসঙ্ঘের সনদে এটি ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ বলে স্বীকৃত। নুরেমবার্গ ট্রায়াল এর উদাহরণ। এ দেশেও নীরবে ৯ বছর ধরে একই ঘটনা ঘটছে কি না, প্রশ্নটি বৈধ। ইহুদিদের একই পাল্লায় তুলে একাধিক গোষ্ঠী ও দলকে নির্মূল করার প্রক্রিয়ায় জোট সরকারের পর সর্বশেষ টার্গেট তারেক পরিবার। আক্রমণের ধারাবাহিকতাই তার প্রমাণ।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ছয় মিলিয়ন ইহুদিকে বিলুপ্ত করা হয়েছিল। অধিকসংখ্যক ভিন্নগোষ্ঠীর লোকের ওপর মানবতাবিরোধী আক্রমণ চালিয়ে যা খুশি করছে ৫ জানুয়ারির ফ্যাসিবাদীরা। ফলে অসংখ্য মানুষ হয় গ্রামছাড়া, এমনকি অনেকে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে। এখনো তা অব্যাহত। কোন পরিস্থিতিতে পড়লে এত মানুষ বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করতে বাধ্য হয়, সাংবাদিক ভাইবোনেরা জানেন। তাদেরই পরিচিত কত সাংবাদিক বেকারত্বে বাধ্য হয়েছেন, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, কত মিডিয়া বন্ধ হয়ে গেছে, দেশত্যাগীদের সংখ্যা কত, এসব তারা নিশ্চয়ই জানেন। গত ৯ বছরে নির্যাতনের শিকার বাংলাদেশীদের বেশির ভাগই পাড়ি জমিয়েছে পশ্চিমে। রেকর্ড সংখ্যক অ্যাসাইলাম প্রার্থনা, এর বেশির ভাগই সফল। অনেকের হাতেই স্থায়ী কিংবা অস্থায়ী ট্রাভেল ডকুমেন্টও পৌঁছে গেছে। ফলে ডিপোর্টেশনের ভয় নেই। অবৈধ হলে যেকোনো সময়ে ডিপোর্টেশন। প্রতি বছরই ১০০টির বেশি দেশ থেকে ৭০ হাজারের বেশি রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন স্টেট ডিপার্টমেন্টে জমা পড়ে। এই প্রক্রিয়া না থাকলে হাজার হাজার জীবন বিপন্ন হতো। এমনকি, বেশির ভাগই স্বদেশে মৃত্যুর মুখোমুখি হতো।

এমন কোনো মাস নেই, যখন ঢাকার কোনো সাংবাদিক নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আসেন না। রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী সহকর্মীদের সাথে দেখা হয় না। নিউ ইয়র্কে বাংলা পত্রিকার যে বিপ্লব, বিপুলসংখ্যক দেশত্যাগী সাংবাদিক এখানেই রুটি-রোজগারের সুযোগ নিয়েছেন। এ ছাড়া, কেউ লটারি, কেউ চেইন মাইগ্রেশন, কেউ দত্তক, কেউ বিবাহ ইত্যাদি বহু ক্যাটাগরিতে পশ্চিমে ঢুকছেন। বাংলাদেশে এমন একটি গ্রাম বা শহর নেই, যার কোনো সন্তান পশ্চিমে নেই। এসব কথা সাংবাদিক ভাইবোনেরা ভালো করেই জানেন।

তারপরও জেনেশুনে বিশেষ কোনো ব্যক্তির অ্যাসাইলামের খবরটি এভাবে ছাপানো হলো কেন? এটা কি সাংবাদিকতার এথিক্সের মধ্যে পড়ে? যেন ‘অ্যাসাইলাম’ শব্দটি প্রথম শুনলেন। যেন অ্যাসাইলাম প্রার্থনা করে মারাত্মক অপরাধ করা হয়েছে। খবর যাচাই-বাছাই ছাড়াই রঙ মাখিয়ে ব্যক্তি অধিকার হরণের প্রমাণ এগুলো। সেজন্য দু’টি পত্রিকা ও হাফমন্ত্রীকে শোকজ। বিষয়টি সঠিক। কারণ অভিযুক্ত ব্যক্তি সরকারের কোনো সাংবিধানিক পদে না থাকায় বিষয়টি নিতান্তই গোপন। এটি অভিযুক্ত এবং ব্রিটিশ সরকারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কোনো কারণে তথ্য পেয়ে থাকলেও প্রকাশের আগে উপযুক্ত মহলের সাথে আলোচনা করেই পাবলিকে আনার নিয়ম রয়েছে সাংবাদিকতায়।

এই হারে দেশত্যাগে বাধ্য করাই কি ফ্যাসিবাদের প্রমাণ নয়? বরং সাংবাদিকদের উচিত ছিল, নব্য ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। এতকাল যার খবর প্রকাশ আইন করে নিষিদ্ধ রাখা হয়েছিল, এই ঘটনায় আসলে তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে উঠল। ব্রিটিশ সরকারও জেনে গেল, ব্যক্তি কত বড় ভিকটিম। অতএব একে ফেরত দেয়ার প্রশ্নই আসে না। বাস্তবে, ‘যদি একটি লোকেরও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার প্রয়োজন হয়, তারেকের নাম এক নম্বরে। কারণ এ মুহূর্তে তাকে ছাড়া হাইকমান্ড আর কাউকেই শত্র“ মনে করেন না। যেন একমাত্র ওই ব্যক্তিই ক্ষমতার মসনদ উল্টিয়ে দিতে পারেন।’ সুতরাং যেকোনো মূল্যে ধরে এনে চরম শিক্ষা দিতে হবে। লন্ডনে বক্তব্যের সারমর্ম এটাই। আগেও লিখেছি, আমি কোনো দলের সদস্য নই। কিন্তু অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হলে, সেসব প্রশ্ন অবান্তর।

তারেকের যে বিদেশী পাসপোর্টের প্রয়োজন নেই, প্রত্যেকেই জানেন। তবে পাসপোর্টটি কোথায়, কিভাবে ব্রিটিশ থেকে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে পৌঁছল, আদৌ কার হাতে… গুগল-আইফোনের যুগে এসব যাচাই-বাছাই করা খুবই সহজ। হতে পারে পাসপোর্ট জমা দিতে হয়েছে কিংবা হয়নি। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন যা বলবে, সেটাই মানতে হবে। এখানে হাফমন্ত্রীর সব বিশ্বাসযোগ্যতা ধরাশায়ী। পাসপোর্টের ডানা সত্যিই গজিয়েছিল কি না, প্রশ্ন সেটাই। কারণ ব্রিটিশ হোম অফিস পাসপোর্টটি নিলে তাদের কাছেই থাকবে এবং কাজ শেষে ফেরত দেবে। না দিলে কোনো মন্ত্রীকেও নয়, আবেদনকারীকেই জানাবে। ৩৭ বছরের প্রবাসী জীবনে নাগরিকত্ব নিয়ে উদ্ভট আবিষ্কার এবারই প্রথম শুনলাম।

গুগল সার্চ, ইমিগ্রেশন আইনবিদ, অ্যাসাইলামপ্রাপ্তদের সাথে কথা বলে যা বুঝা গেল, বৈধ হওয়ার প্রক্রিয়ায় আমেরিকা ও ব্রিটেনে পাসপোর্ট বা নাগরিকত্ব ত্যাগের শর্ত নেই। জার্মানি ও সিঙ্গাপুরে আছে। অ্যাসাইলামপ্রাপ্তরা অস্থায়ী ট্রাভেল ডকুমেন্ট নিয়ে সব দেশেই যেতে পারবেন, শুধু মাতৃভূমি ছাড়া। পাসপোর্টটির মেয়াদ থাকলে, স্থায়ী ডকুমেন্ট পাওয়ার পর মাতৃভূমিতেও যেতে পারবেন। তারেক রহমান সব শর্ত পূরণ করেই স্থায়ীভাবে আছেন। কিন্তু অন্যদের মতো ওই পরিবারের স্বদেশী পাসপোর্ট ৫ জানুয়ারির অবৈধ সরকার ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত কখনোই নবায়ন করা হবে না। হতে পারে নবায়নের আবেদন করে পাসপোর্ট আর ফেরত পাননি কিংবা সে পথেই যাননি বরং ব্রিটিশের নিয়মেই তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাসপোর্ট হস্তান্তর। হাফমন্ত্রী শুধু তিনটি পৃষ্ঠা দেখাতে পেরেছেন, তা তার পক্ষে সংগ্রহ করা খুবই সহজ। কারণ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারে পাসপোর্ট বিভাগ।

আবেদনকারীর সব তথ্য ও ছবি থাকায়, চাইলে এক হাজার পাসপোর্ট বানিয়ে যা খুশি করতে পারেন। অ্যাসাইলাম নিলে নাগরিকত্ব ছাড়তে হয়- সংবাদ সম্মেলনে হাফমন্ত্রীর এই উদ্ভট বক্তব্যের পর হতবাক হতে হয়। দ্বৈত নাগরিকত্ব সমর্থন করে আমেরিকা-ব্রিটেন। সে কারণেই বাংলাদেশ তার প্রবাসী নাগরিকদের পাসপোর্টে ১০ বছরের ‘নো-ভিসা রিকোয়ারমেন্ট’ সিল দেয়। ফলে স্বদেশে ঢুকতে ভিসা লাগে না। অন্যথায় এয়ারপোর্টে নেমে ভিসা নিতে হয়। ‘অন্য দেশের পাসপোর্ট নিলে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব চলে না যাওয়ার প্রমাণ এটাই।’ আইনজ্ঞ শাহদীন মালিক বলেছেন, বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র এক কোটির পাসপোর্ট আছে। তাই বলে কি তারা নাগরিক নন?’ উচিত ছিল, নাগরিকত্বের বিষয়ে প্রশ্ন তোলার আগে এ বিষয়ে পড়াশোনা করা। অ্যাসাইলামের অর্থ বিদেশী পাসপোর্ট নয়। তাই নাগরিকত্ব হারানোর প্রশ্নটি হাস্যকর।

২০১৪ সালের ভুলভাল চিঠি হঠাৎ ২০১৮-এর নির্বাচনের আগে কেন আবিষ্কার করা হলো? ভারত থেকে ফিরেই হানিফ কেন বললেন, তারেক জন্মসূত্রে পাকিস্তানের নাগরিক? এসব গুজব অকারণে ছড়ায় না আওয়ামী লীগ। সবার জ্ঞাতার্থে বলছি, তারেকের জন্ম ঢাকায় ১৯৬৭ সালের ২০ নভেম্বর। সজীবের জন্ম ২৭ জুলাই ১৯৭১। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১। সুতরাং জন্মসূত্রে কার নাগরিকত্ব প্রশ্নবিদ্ধ, যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্ব হানিফদেরই।

খুনি মহিউদ্দিনকে হাত-পা বেঁধে প্লেনে তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিল মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট। কিন্তু তার অ্যাসাইলাম থাকলে পারত না। জাতিসঙ্ঘের রিফিউজি ভিসায়ও বিদেশে থাকার সুযোগ। অবশ্য তারেককে মহিউদ্দিনের সাথে তুলনা করা উচিত নয়। কিন্তু প্রসঙ্গটি তোলার কারণ, দেশে তার জন্যও চরম দণ্ডের মঞ্চ তৈরি। ব্রিটিশ সরকার কখনোই জেনেশুনে সাক্ষাৎ যমের হাতে তুলে দেবে না কাউকে। ব্রিটিশ জানে- সকালে আপিল, দুপুরে খারিজ, রাতে ফাঁসির ঘটনা। তবে লন্ডনে ‘তারেককে ফিরিয়ে নেবোই’- বক্তব্যে এক ধরনের ভালগারিজম ভাইরাল হয়েছে। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হলো।
২.
একটার পর একটা ভুয়া চিঠির বিপ্লব। সিনহার পর এই চিঠিও ভুয়া। বিষয়টি উদ্বেগজনক। একমাত্র আওয়ামী লীগ ছাড়া সবাই জানে, কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে অ্যাম্বেসি থাকে না। ওরা বলেন, হাইকমিশন। উইকিপিডিয়া লিখেছে- ‘নন-কমনওয়েলথ দেশগুলোতে ডিপ্লোম্যাট মিশনের জন্য অ্যাম্বেসি থাকে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে থাকে হাইকমিশন। অ্যাম্বেসির দায়িত্বপ্রাপ্তকে বলা হয় অ্যাম্বাসেডর। অন্যটির ক্ষেত্রে বলা হয় হাইকমিশনার।’ হবে ‘বাংলাদেশ অ্যাম্বেসি’, লিখেছে ‘বাংলাদেশী অ্যাম্বেসি’। চারজনের নাম উল্লেখ করে একটি পাসপোর্ট জমা রাখার কথা লিখেছে। টেলিফোন নম্বর কখনোই এভাবে হাইলাইট করা হয় না। হোম অফিসের নম্বরটিও ভুল। ফেইথফুলি বানানে বড় অ্যালফাবেট ‘এফ’। চিঠিতে সইকারীর নাম নেই। মূর্খও জানে, লেখা নামের ওপরেই সই করার বিশ্বজনীন নিয়ম। ‘ডিয়ার স্যারস’ মানে কী? হবে একবচন, দেখলাম বহুবচন। অনেক পত্রিকাই ১৩টি ভুলে ভরা, নীল-লাল রঙের হাইলাইট করা চিঠিটি ছেপেছে। বেকায়দায় পড়া হাফমন্ত্রী বললেন, ভুল থাকলে ব্রিটিশকে বলুন। অর্থাৎ স্বীকার করলেন, সিনহার পদত্যাগের চিঠির মতোই এই চিঠিও তাদের স্বরচিত। (দ্র: কালের কণ্ঠ, ২৪ এপ্রিল, সংবাদ সম্মেলনে আগামাথাহীন বক্তব্য।)

পাবলিক রিঅ্যাকশন দেখামাত্রই নিজের পোস্ট নিজে হ্যাক করে দোষ চাপানো হলো হ্যাকারদের ওপর। হয়তো, ভেবেছিলেন সবাইকে একসাথে বারবার বোকা বানানো সম্ভব। খনার বচন, ‘চুরি বিদ্যা মহাবিদ্যা যদি না পড়ে ধরা।’ নিউ ইয়র্ক শহরে বহু বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন আইনবিদ রয়েছেন। একজনের কাছে জানতে চাইলে বললেন, বিষয়টি জানেন এবং পুরাই ভুয়া।

এবার কারণ খোঁজা যাক। গোপন মিশন পূরণের আগে গুজব সৃষ্টি করতে হয়। উদাহরণস্বরূপ, সিনহার অ্যাকাউন্টে ঘুষের টাকা কিংবা এতিমের দুই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার আগে প্রচণ্ড গুজব ছড়ানো (যদিও কোনোটারই প্রমাণ নেই। ভিকটিমদের অ্যাকাউন্টে আসলেই কে বা কারা টাকা জমা দেয়, ক্ষমতাসীনেরা জানেন)। এরপর সংসদে মিশন সফল করা হলো।
খালেদার হায়াত-মউত নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে মাইনাস করা শেষ। তারেকের দেশে ফেরার প্রশ্নই ওঠে না। বাকি রইল কে? দলের হাল ধরার কথা ছিল জোবায়দা রহমানের। তাকে ঠেকাতেই কি রাতারাতি এই অপকর্ম? মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন, টার্গেট তারেক হলে, ভুয়া চিঠিতে জোবায়দার নাম কেন? অর্থাৎ এই পরিবারের কারো পাসপোর্টই নবায়ন না করার ইচ্ছার বিষয়টি পাবলিকে আনা হলো।

এরপর যা করা হবে। ২০১৬ সালে আনা অসমাপ্ত নাগরিকত্ব আইনের বিল নতুন করে প্রাণ পাবে। চোর-গুণ্ডা-বদমাশ, পলাতক, খুনি, পরিবারটির বিরুদ্ধে সংসদে আবারো ভাঙা রেকর্ড সজোরে বেজে উঠবে। এরপর ‘হ্যাঁ জয়যুক্ত’ হবে কণ্ঠভোটে। এরপর নাগরিকত্ব আইন বানানো হবে। জোবায়দার প্রত্যাবর্তন ঠেকাতে এটাই সবচেয়ে বড় কৌশল। ‘নেত্রী আজীবন প্রধানমন্ত্রী’- এহেন রাজনৈতিক বক্তব্যের ধারাবাহিকতা এটা। ‘প্রেসিডেন্ট ফর লাইফ’- শি জিনপিং দ্বারা অনুপ্রাণিত আওয়ামী লীগ। সেই প্রচার শুরু হয়ে গেছে। গুজবের উদ্বোধন করলেন পণ্ডিত(!) হাসান মাহমুদ। এর আগেই সব ক’টা পথের কাঁটা শেষ হয়ে যাবে।
ই-মেইল : farahmina@gmail.com
ওয়েবসাইট : www.minafarah.com
সুত্র-নয়াদিগন্ত

সংবাদটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2024  Ekusharkantho.com
Technical Helped by Curlhost.com